গাংচিল অনলাইন.কম: ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা সবার হয় না। অনেকেই মনে করেন, ফ্রিল্যান্সিং মানেই টাকা আয়, অল্প সময়ে অনেক টাকাওয়ালা বনে যাওয়া। কিন্তু বিষয়টি মোটেই এতো সহজ নয়।
সেই অসাধ্যকে যে কেউ ধরাছোঁয়ার ভিতর আছেন না এমন নয়। অনেকেই অসাধ্য সাধন করছেন কঠোর পরিশ্রম দিয়ে। তেমনই একজন নাসির উদ্দিন।
নোয়াখালির সোনাইমুড়ীর এক নিভৃত গ্রাম আমিশাপাড়ার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন। পড়াশোনা করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন। আলিম, ফাজিল পাশের পর চলে আসেন ঢাকায়। ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। পড়ালেখার পাশাপাশি নিজে স্বাধীন পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন এমনটাই সংকল্প করেন নাসির।
২০১৫ সালের কথা। তখন নাসির শিখতে শুরু করেন ইউআই এবং ইউএক্স ডিজাইন। একটি অ্যাকাউন্টও খুলে নেন বৈশ্বির ফ্রিল্যান্স কাজের প্লাটফর্ম আপওয়ার্কে। তবে কাজ করতে শুরু করেন এর অনেক পরে।
নাসির বলেন, আমি যে কাজটি শিখছিলাম তাতে যেন সফল হই সেটাই ছিল লক্ষ্য। সে জন্য খুব মনোযোগ দিয়ে কাজগুলো করতে থাকি। এভাবে দুই বছর পেরিয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সাল থেকে আপওয়ার্কে কাজ শুরু করেন তিনি।
চলতি মাসেই নাসিরের আপওয়ার্কে কাজ করার দুই বছর পূরণ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নাসির আপওয়ার্ক থেকে এক লাখ ডলার আয়ের মাইলফলক পেরিয়েছেন।
নাসির বলেন, আমার জীবনের প্রথম কাজ ছিল স্পাইনার ইনকর্পোরেশনের ইউআই এবং ইউএক্স ডিজাইনার হিসেবে। এটি একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান।
এরপর অন্তত আরও চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন নাসির। বিভিন্ন দেশের এবং নিজ দেশের ক্লায়েন্টদের ইউআই এবং ইউএক্স ডিজাইন সাপোর্ট দিতে একটি দল তৈরি করছেন নাসির। আগামী বছরের প্রথমার্ধেই একটি দল তৈরি করে দেশে-বিদেশের ক্লায়েন্টদের ডিজাইনে কাজ করতে পারবেন বলে জানান নাসির।
নাসির আরও বলেন, বিদেশের ক্লায়েন্টরা সবসময় চান সময়মতো ও নির্ভুল কাজ। আমি এতোদিন একা কাজ করতাম। কিন্তু দল করে কাজ করলে সেটা আরও সৃজনশীল হয়। তখন ক্লায়েন্টও খুশি হয়ে বেশি করে কাজ দিতে পারেন।
বর্তমানে রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে থাকছেন নাসির উদ্দিন। সেখানেই তিনি একটি ছোট অফিস করে কাজ করতে চান বলেও জানান।


0 Comments