লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : র্যাব-১১, সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ৭টার দিকে সদর উপজেলার বটতলী গ্রামের আতিকুল্লা সর্দার বাড়ীর নাজমুল হাসান রায়হান (৩৫) এর বসতঘর থেকে এসব অবৈধ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, বটতলী গ্রামের মো. সেকান্তরের ছেলে নাজমুল হাসান রায়হান (৩৫) তার বসতঘরে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার পর বিটিআরসির ঢাকার সহকারী পরিচালক নেছার আহাম্মদ ও র্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু ছালেহ এর নেতৃত্বে শুক্রবার রাত ৭টার দিকে ওই এলকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় তার বসতঘর থেকে ৬৪ সীম পোর্টের ১টি সীম বক্স, ২৫৬ সীম পোর্টের ৩২টি জিএসএম এন্টেনা বিশিষ্ট ১টি সীম বক্স, যাহার গায়ে ৩০টি জিএসএম এন্টেনা রয়েছে, ৮ পোর্টের সীম রিসার্জ সার্ভার, মোবাইল অপারেটর টেলিটকের ৫০২টি সীম, কিউভি ব্যান্ডের একটি উইম্যাক্স রাউডার, ১টি ল্যাপটপ, তিনটি ক্যাবল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নাজমুল হাসান রায়হান পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রে আর ওজানা গেছে, নাজমুল হাসান রায়হান তাহার নিজ বাড়ীতে অবৈধভাবে লাইসেন্স ব্যতীত টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে বৈদেশিক কল আদান-প্রদানের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু ছালেহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পলাতক নাজমুল হাসান রায়হানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন আইন ২০০১ (সংশোধিত ২০১০) এর ৩৫ (২) ৫৫ (৭) ধারায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


0 Comments