গাংচিল অনলাইন.কম: নোয়াখালী পৌর কাঁচাবাজারে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এতে দেখা যায় আইন লঙ্গন করে পলিথিন বিক্রয়, প্রদর্শিত মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় মূল্যের মিল না থাকা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, হোমিও ঔষধালয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা, রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৮হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।
আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: রোকনুজ্জামান খান ও মো: রুহুল আমিন। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন দেবানন্দ সিনহা, সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নোয়াখালী এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: রোকনুজ্জামান খান বলেন, বেলা ১১.৩০ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬(ক) ধারা লঙ্গন করে পলিথিন বাজারজাতকরণের অপরাধে পৌর বাজারের দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৩হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়। পৌর বাজারের ভিতরে হোমিও ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীণ ঔষধ পাওয়ায় ফার্মেসী মালিককে ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ২৭ ধারায় ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পৌরবাজারের একটি মুদি দোকানে প্রদর্শিত মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় মূল্যের গড়মিল থাকায় ঐ দোকানীকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাইজদি কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের পাশের (সরকারী মহিলা কলেজ সংলগ্ন) বাজারে দুটি মুদির দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখবিহীন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ধারায় ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সময় পৌর বাজারের কাঁচা বাজার ব্যবসীয়দের প্রত্যেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।


0 Comments