গাংচিল অনলাই.কমঃ নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদি বাজার, পৌর বাজার ও বছিরা বাজারে আইন লঙ্গন করে পোনা পাঙ্গাস মাছ বিক্রয়, পলিথিন বিক্রয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা পদর্শন না করা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হোটেল ব্যবসায় করার জন্য ২৫হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন মো: রোকনুজ্জামান খান, ও মো: রুহুল আমিন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নোয়াখালী।
এতে সহযোগিতা করেন- দেবানন্দ সিনহা, সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা মৎস কর্মকর্তা, নোয়াখালী এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল ৩.৩০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা শহরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পৌর মাছ বাজারে ৩০ সেন্টিমিটারের নিচে পোনা পাঙ্গাস মাছ বিক্রয় করার জন্য মাছ ব্যবসায়ী মো: আজাদ মিয়া কে মৎস সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫০ এর ৪ ধারার অপরাধে ৫ ধারায় ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত মাছ ১৫কেজি মাছ জেলা জামে মসজিদি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
মাইজদি বাজার এলাকায় অনুমোদন বিহীনভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইন ১৯৯৫ এর ৬(ক) ধারার অপরাধে ১৫ ধারায় ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৪১ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পলিথিন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকায় প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বছিরা বাজার এলাকায় হোটেল ও মুদির দোকানে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা পদর্শন না করা, ফ্রিজে কাঁচা-পাকা মাংস-দই-পানি-মসলা সংরক্ষণ, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ২০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসব মামলায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়।
মো: রোকনুজ্জামান খান জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কারও কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য থাকলে তা জেলা প্রশাসন, নোয়াখালীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।




0 Comments