নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছোট ফেনী নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু আহরণ করছে চরএলাহী ও চরফকিরা ইউপির মানুষ। জানাগেছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এসব রেণু পাঠানো হচ্ছে মহাজনদের আড়তে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি জানতে পেরেছি চর এলাহী ইউপির মনা মিয়া আমার নাম ব্যবহার করে রেণু ও পোনা আহরণ করে তা মহাজনদের আড়তে পাচার করছে।
কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও মো. ফয়সল আহমদ বলেন, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাগদা ও চিংড়ি পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময়। তাই এ সময় রেণু-পোনা আহরণ সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।
তিনি জানান কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চিংড়ি পোনা ধরলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আফরিন সুলতানা বলেন, একটি বাগদা চিংড়ির রেণু ধরতে গিয়ে ৪৬ প্রজাতির পোনা নষ্ট হয়। এতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য জনসচেতনতার পাশাপাশি হ্যাচারির মাধ্যমে চিংড়ির রেণু উৎপাদনে উৎসাহিত করতে হবে। যাতে করে নদীতে চিংড়ি রেণু ধরতে না হয়।
নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোতালেব হোসেন বলেন, রেণু-পোনা আহরণ বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হ্যাচারিতে রেণু উৎপাদন বাড়াতে মৎস্য বিভাগ যথেষ্ট আন্তরিক।


0 Comments