Breaking News

header ads

স্ত্রী প্রতারণার ন্যায়বিচার চাইলেন প্রবাসী স্বামী


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা উত্তর হামছাদী ইউনিয়নে সম্প্রতি একটি ঘটনা পেয়েছি যেখানে স্ত্রী পরকিয়া করতে গিয়ে স্বামীর টাকা পয়সা নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়ে উল্টো যৌতুক নির্যাতন ও দেনমোহরের মামলা করেছেন।

স্ত্রীর পরকীয়ায় আসক্তি, বেপরোয়া চলাফেরায় স্বামী যখন অতিষ্ঠ তখন তালাকের সিদ্ধান্ত নিলেই দাবী করা হচ্ছে মোটা অংকের চাঁদা। যৌতুক এবং নারী নির্যাতন বিরোধী আইন পুরুষদের নির্যাতনে ব্যবহার করা হচ্ছে, আমার প্রায় সাত লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গেছে, আমি মানসম্মানের ভয়ে আমার শিশু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার বিরুদ্ধে মামলা করেনি ক্ষোভের সঙ্গে কথা বলেন, সৌদি আরব প্রবাসী রাসেল সাংবাদিকদের জানান, সৌদি আসছি ভাগ্য বদলাবে, আয় হবে লাখ লাখ টাকা-চিন্তা কীভাবে বেশি উপার্জন করা যায়। স্ত্রী-সন্তানদের কত ভালবাসি সেটা তাকে কি ভাবে বুঝাইব? আমি দুঃখ বিলাসী নই, আমি তার সুখের কাঙাল। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুখ খুঁজে বেড়িয়েছি তার কাছে। সবকিছু তো বোঝানো সম্ভব নয়, অনুভবে বুঝে নেন আমার কষ্ট? বিচ্ছেদ কারোরই কাম্য নয়। তারপরও আখির পরকীয়ায় আসক্তি শারীরিক চাহিদা অপ্রত্যাশিতভাবে বিচ্ছেদ আমার সংসার তছনছ করে দিয়েছে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে লক্ষ্মীপুর পৌর ১২নং ওয়ার্ড আবির নগর মৃত দুলাল পাটোয়ারীর মেয়ে আখি আক্তারের সাথে হামছাদী ইউনিয়ন কাজির দিঘির পাড় এলাকার লকিয়ত উল্যার ছেলে রাসেলের সাথে বিগত ১৬/০৫/২০১৪ইং তারিখে ৬লক্ষ কাবিনে তিন লক্ষ টাকা উসুলে বিয়ে হয়। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে যার নাম মাহমুদুর রহমান আদিব(৬)।

প্রবাসী রাসেল আরো বলেন, গত২০/০৫/২০১৯ইং তারিখে রিক্স চালক ভুলু মিয়ার ছেলে মোঃ আলোর সাথে গভীর রাতে আমার নিজ বসত ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় বতুর কাছে হাতেনাতেই ধরা পড়ে বিষয়টি কাউকে যেন না জানান তার পা ধরে মাপ চান আলো।

মেম্বার ইউপি সদস্য বাবুল ভুঁইয়া এবং আ,লীগ নেতা আবদুল মতিন ভুঁইয়া ও বাবুল মোল্লাসহ শতাধিক লোকের উপস্থিতে শারিরীক সম্পর্কে কথা স্বীকার করেন আলো। হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নান্নু কেও এবিষয়ে জানানো হয়েছে এবং ২০/০৮/২০১৯ইং তারিখে আমার ভাই মহন ভুইয়া লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় জিডিও করেন। অথচ সে ঘরে সোনার গহনা ও নগদ টাকাসহ প্রায় সাত লাখ টাকার মালাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আমি ডিভোর্স দিলে আমার অসুস্থ বৃদ্ধা বাবা, মা ও আমার নামে আদালতে মিথ্যা যৌতুক অভিযোগ দিয়ে মামলা করেন।

এদিকে বিজ্ঞ পারিবারিক আদালত সিনিয়র সহকারী জজ সদর লক্ষ্মীপুর ৪০/২০ইং সুত্রে আখি আক্তার অস্বীকার করে বলেন, পরকীয়ায় আসক্তি বা- শারিরীক সম্পর্কে নয় যৌতুক দাবি করে আসছিলেন তারা কিন্তু আর্থিক অভাবের কারণে তার পরিবারের পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এর পর থেকে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। পরকীয়ায় আসক্তি বা- শারিরীক সম্পর্কের অজুহাতে শশুর ও শাশুড়ী স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে সে তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আমি এযৌতুক নির্যাতনের ও আমার সকল পাওনা বুঝাইয়া দিতে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

Post a Comment

0 Comments