ইউনুছ শিকদার : স্বামী স্ত্রীকে গাছের সাথে বেঁধে বসতঘরে অগ্নি সংযোগ করেছে দুর্বিত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাত ৩ টায় নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে। অগ্নিসংযোগের ফলে বসতঘরের অধিকাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায় ।
ভুক্তভোগী মিলাদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত মুজাফফরের ছেলে আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী রাত আনুমানিক ৩ টার সময় তার বাড়ীতে প্রবেশ করে এবং তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ঘরে প্রবেশ করে, সাথে সাথে তাকে এবং তার স্ত্রী রিনা আক্তারের মুখ বেঁধে ঘর থেকে বের করে ২টি গাছের সাথে মুখের ভিতর গামছা ডুকিয়ে বেঁধে রাখে’।
পরে তারা ঘর তল্লাশি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং বেশ কিছূ আসবাবপত্র নিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়, আগুনের লেলিহান শিখা দেখে প্রতিবেশীরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে এবং পানি মেরে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনে। এঘটনায় মিলাদের ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবী করেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী মিলাদ হোসেন ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের নেজামুল হকের ছেলে। বর্তমানে মিলাদ হোসেন ও তার স্ত্রী রিনা আক্তার সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
অভিযুক্ত আজিজ বলেন, তিনি ঘটনার সাথে জড়িত নয়, আগুন লেগেছে দেখে তিনি আগুন নেভাতে গিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, কিছুদিন পূর্বে মিলাদের বাড়ির গাছের সাথে বিদ্যুতের তার বেঁধে অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ তার ঘরে বিদ্যুত সংযোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয় । এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আজিজ এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তারা ধারনা করছেন। এলাকাবাসী আরো জানান, সঠিক সময়ে প্রতিবেশীরা না পৌঁছালে মুখে গামছা ডুকিয়ে বেঁধে রাখার ফলে মিলাদ ও তার স্ত্রীর মৃত্যু’র সম্ভাবনা ছিল।
এ ব্যাপারে চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহেদ উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এস আই ওয়াহিদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।


0 Comments