লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নেতা একেএম ফরিদ উদ্দিনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে পালেরহাট বাজারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পালেরহাট বনিক সমিতির সভাপতি একেএম ফরিদ উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদী কয়েকটি হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের বেশ কয়েকটি মামলার আসামী ও পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী তিনি। তার বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ও চাঁদাবাজিসহ নানা অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে নেমে আসে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন।
গত কয়েকদিনে আবুল কাশেম জিহাদী বাহিনীর কয়েকজনকে মাদক ও ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে জিহাদী। তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না বলে অভিযোগ করেন তিনি। কাশেম জিহাদী লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসের জনক ও মাদকের গডফাদার বলেও দাবী করেন এ ব্যবসায়ী।
৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে কাশেম জিহাদী তার বাহিনীর সন্ত্রাসী মাহফুজুর রহমানকে গুলি ও বোমা দিয়ে আমাকে হত্যা করার জন্য পালেরহাট বাজারে পাঠায়। এ সময় মাহফুজুর রহমানের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০টি হাতবোমা ও ২৫ রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করে। ফরিদকে হত্যার জন্য কাশেম জিহাদী মাহফুজকে পাঠায় বলে ব্যবসায়ীদের সামনে সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন ফরিদ। সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ও মাদকের গডফাদার আবুল কাশেম জিহাদীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপিস্থিত ছিলেন, আমির আহম্মেদ রাজু, আবদুল মতিন পাটওয়ারী, বনিক সমিতির নেতা দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, জাফর আহাম্মদ, শাহজাহান, আক্তার হোসেন ও সোলাইমান হোসেন প্রমুখ।
এদিকে বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফরিদ উদ্দিনের সাথে আমার কোন সর্ম্পক নেই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।


0 Comments