গাংচিল অনলাইন.কমঃ একটি সড়ক দুর্ঘটনা চিরতরে থামিয়ে দিয়েছে দুই সহোদরের দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার স্বপ্ন। যাত্রাপথেই শেষ হলো দু'ভাইয়ের স্বপ্ন !
লাশ হতে হলো নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউপির চার নং ওয়ার্ডের পাটোয়ারি বাড়ির দুই সহোদর আরাফাত ও আল-আমিনকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশের দেশ মোজাম্বিকের মুকুবা শহরের পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। তাদের বাবার নাম সালেহ আহম্মেদ। দুই সহোদরের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ঘটনায় দুই মোজাম্বিক নাগিরকসহ মোট চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং আরো তিন বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়।
শুক্রবার সকালে নিহত দুই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারের স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম। তাদের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, হতদিরদ্র মোহাম্মদ হোসেন দিনমজুরের কাজ করেন। প্রায় তিন বছর আগে জমিজমা বিক্রয় ও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ করে বড় ছেলে হাছানকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠান। হাছান কিছু টাকা জোগাড় করে এবং বাকি টাকা গ্রামের ব্যাংক থেকে ঋণ করে বেকার দুই ভাই আরাফাত ও আলামিনকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেয়ার জন্য দালালকে দেয়। দালালের মাধ্যমে গত ৩০ তারিখ এক ভাই প্রথমে দুবাই যায় এবং ১৩ তারিখ আরো এক ভাই দুবাই যায়। সেখান থেকে দুই ভাইসহ আরো কয়েকজনকে সড়ক পথে প্রথমে কেনিয়া ও পরে মোজাম্বিক হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেয়ার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার যাওয়ার পথে মোজাম্বিকের মুকুর নামকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহোদরসহ আরো চারজন নিহত এবং মেহেদী হাছান, হুমায়ুন কবির ও ইকবাল হোসেন নামে তিন জন আহত হন। আহতের মধ্যে ইকবাল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত দুই জনের কাছ থেকে পাওয়া পাসপোর্ট দেখে স্থানীয় বাংলাদেশি পরিচিয় নিশ্চিত হন এবং গ্রামের বাড়িতে খবর দেন। রাত একটার সময় তাদের মোজাম্বিকের মকুবা এলাকায় দাফন করা হয়।


0 Comments