গাংচিল অনলাইন.কম: নোয়াখালী জেলার হাসপাতাল রোডে পশ্চিম মাইজদী এলাকায় অবৈধভাবে নকল কসমেটিস ও ঔষধ বাজারজাতকরণ, লাইসেন্সবিহীনভাবে প্যাকেটজাত পণ্যে অবৈধভাবে বিএসটিআই এর নকল সীল লাগানো ও আমাদানিকারকের সীল লাগানো, ভূয়া সিকিউরিটি ক্যাপ, ডাক্তারের প্যাড নিজ অধিকারে সংরক্ষণ করার অপারাধে জাস কর্পোরেশনকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ আদালত পরিচালনা করেন মো: রোকনুজ্জামান খান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নোয়াখালী। অভিযান পরিচালনায় প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবানন্দ সিনহা, সহকারী পরিচালনক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নোয়াখালী; মো: হাসানুজ্জামান, ড্রাগ সুপার, নোয়াখালী ও মো: আশিকুজ্জামান, ফিল্ড অফিসার (সিএম), বিএসটিআই, চট্টগ্রাম এবং আইনশৃঙ্খলায় রক্ষায় সহযোগিতা করেন সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল (৩১জুলাই ২০১৯) বিকেল ৪.৩০ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে দেখা যায়- নোয়াখালী জেলা শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় পশ্চিম মাইজদির জাহের মঞ্জিল (পোস্ট অফিসের পাশে) এর জাস কর্পোরেশনের ভাড়াকৃত নিচ তলার কক্ষে বিপুল পরিমান কসমেটিকস, ঔষধ, বিএসটিআই এর সীল, আমাদানীকারকের সীল, প্যাকেট সীলকরণের সিকিউরিটি ক্যাপ ডাক্তারের পেড পাওয়া যায়। এসব পণ্যে অবৈধভাবে বিএসটিআই সীল পণ্যে লাগিয়ে ভূয়া সিকিউরিটি ক্যাপ প্যাকেটে ব্যবহার করা হচ্ছিল। নিজেরদের ইচ্ছামত দাম লিখে এসব পণ্যের গায়ে সীল লাগানো হয়।
মো: রোকনুজ্জামান খান জানান, ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন ও রেজিস্ট্রেশন ব্যতিরেখে অবৈধভাবে ঔষধ একই পদ্ধতিতে বাজারজাতকরণ করা হচ্ছিল। আমাদানী করা পণ্যগুলোতে ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৭ধারা অনুযায়ী ৮টি নির্দেশনা যেমন- উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, প্যাকেটজাতকরণ ও উৎপাদনের তারিখ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়নি। বিএসটিআই এর যে লগোটি পণ্যে ব্যবহার করছে সেই লগোটিও নকল, বিএসটিআই এর ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই এসব লগো তৈরি করা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে প্রসিকিউটরগণ এসব কার্যক্রমকে আইন লঙ্গন হিসেবে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এসব অপরাধ স্বীকার করায় জাস কর্পোরেশনকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন আইন ২০১৯ এর ২৭ধারায় ১লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড, ড্রাগ আইন ১৯৪০ এর ২৭ধারায় ১লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ধারায় ৫০হাজার টাকা অর্থ দন্ড দিয়ে সর্বমোট ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা আদায় করা হয়।
প্রয়োজনীয় আলামত সংরক্ষণ করে অবশিষ্ট জব্দকৃত আলামত ধ্বংস করা হয়।
তথ্যসূত্র: ডিসি অফিস, নোয়াখালী।




0 Comments