ইউনুছ শিকদারঃ সুবর্ণচরের দক্ষিণে জেগে উঠা লঙ্গলীয়ারচর প্রতিনিয়ত ভাঙ্গছে,ভিটেমাটি হারাচ্ছে বাস্তুহারা মানুষ।নোয়াখালীর মেঘনা উপকূলে অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে বিস্তৃত জনপদ। ভাঙ্গনের কবলে সিডিএসপি নির্মিত বেড়িবাঁধটিও রয়েছে। ফলে আতঙ্কে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ভাবে ব্লক নির্মাণের দাবী জানান স্থানীয়রা।
চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সৈয়দ নগর এলাকা,সোলাইমান বাজার সংলগ্ন খাল,পূর্বদিকে (একরাম নগর) ইছমাইল বাজার পর্যন্ত এলাকার সাড়ে ৪ কি.মি. জুড়ে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন। নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে এখানকার কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি ও শত শত বসত বাড়ী।
নদীর করাল গ্রাসে বিলিন হয়ে গেছে সিডিএসপি নির্মিত বেড়িবাঁধটিও। তাই চিন্তার রেখা দেখা দিয়েছে স্থানীয় ভূমিহীনদের মাঝে।এভাবে যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে মানবিক বিপর্যয় ঘটবে মেঘনার পাড়ে। পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় গিয়ে উঠবে ভূমিহীনরা তা নিয়ে চরম আতঙ্ক স্থানীয়দের। নদী ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে সমূদ্রের জোয়ারের তোড়ে বেড়ি বাঁধ ও পুরো এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সৈয়দনগরের আরিফুল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এমপি একরামুুুল করিম চৌধুরীর কাছে একাধিক আবেদনের পর বেড়িবাঁধ রক্ষায় সিডিএসপির মাধ্যমে জিআই ব্যাগ ফেলার আশ্বাস মিলেছে। প্রতিদিন জোয়ারের ফলে বেড়ি বাঁধের বাকি অংশটুকুও যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে ব্লক নির্মাণের দাবী জানান এলাকাবাসী।
নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, ঐ এলাকায় নদী ভাঙ্গন ও বেড়িবাঁধটি রক্ষায় আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। যা প্রক্রিয়াধীন আছে। বরাদ্ধ পেলে যথা সময়ে নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করা হবে।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুলকালাম আজাদ জানান, বেড়িবাঁধটি ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর নিকটে জিআই ব্যাগ দেওয়ার আবেদন করেছি। আশা করছি বরাদ্দ হবে এবং এই এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে ব্লক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। সহসায় সেখানে ব্লক নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পদ রক্ষা ও স্থানীয়দের জান-মালের নিরাপত্তায় সরকার ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী প্রদক্ষেণ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।




0 Comments