ফেনীর ছাগলনাইয়ায় অপহরণকারীর হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছে এক কলেজছাত্রী।শনিবার দুপুরে মেয়েটির চিৎকারে গ্রামবাসী অপহরণকারীদের ধাওয়া করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আটককৃতরা হলো ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর ইউনিয়নের বাথানিয়া গ্রামের মনির আহমদের ছেলে আবদুল লতিফ ও একই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে আলমগীর হোসেন। আবদুল লতিফ ওই অটোরিকশা চালক।
ভিকটিমের স্বজনরা জানান, ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে ছাগলনাইয়া শহরে যাচ্ছিল। ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়কে রেজুমিয়া স্ট্যান্ডে সিএনজি অটোরিকশায় ওঠে সে। গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আরও তিন যুবক যাত্রীবেশে গাড়িতে ওঠে। চালক শহরের দিকে না গিয়ে তার অটোরিক্সা ঘুরিয়ে উল্টো বাথানিয়া গ্রামের দিকে ঢুকে পড়ে। তখন ওই ছাত্রীর সন্দেহ হলে গাড়ি থেকে কৌশলে লাফিয়ে পড়ে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে গ্রামবাসী ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ওই ছাত্রীকে বখাটেরা অপহরণ করতে চেয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। অপহরণকারী বখাটেরা চারজন ছিল। তারা পেশায় অটোরিকশা চালক। তাদের মধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অপর বাকি দু’জনকেও আটকে অভিযান চলছে। এদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
মেজবাহ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ছাত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।


0 Comments