নোয়াখালীতে পরকীয়ার অভিযোগে এক নারী ও পুরুষকে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বুদ্দিনগর এলাকায় । এ ঘটনায় জাফর নামে এক গ্রাম্য ডাক্তারসহ আটজনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছে ওই নির্যাতিতা নারী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, জাফর নামে স্থানীয় এক গ্রাম্য ডাক্তার গ্রামের মানুষের সামনে দিন দুপুরে ওই নারী ও পুরুষকে মারধর করেন। এসময় ওই পুরুষের মাথাও ন্যাড়া করে দেয়া হয়। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক পুরুষকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে, আর পাশে এক নারীকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারছে এক ব্যাক্তি। এক পর্যায়ে ওই ব্যাক্তি ওই নারীর ওড়না টেনে প্রায় খুলে ফেলেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই পুরুষকেও লাঠি দিয়ে পেটানো হয় এবং মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করা হয়।
নির্যাতিত পুরুষকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে জানায়, রোববার সকালে ধারের টাকা নিতে ওই নারীর বাড়ি গেলে স্থানীয়রা তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারধর করে। ওই নারী তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলে তাকেও লাঠি দিয়ে মারা হয়। এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি দেখেন।
গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে জানার পর বুধবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতা নারী, অভিযুক্ত ডাক্তারের স্ত্রী ও তার মাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। জাফর নামে এক গ্রাম্য ডাক্তারসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।


0 Comments