দৈনিক খোলা কাগজের স্টাফ রিপোর্টার ছাইফুল ইসলাম মাছুম আদিবাসীদের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে সংবাদ লিখে ‘আদিবাসী বিষয়ক সাংবাদিক সম্মাননা ২০১৯’ পেলেন ।
মাছুমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার চরচেঙ্গা গ্রামে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের হল রুমে ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যন্ড ডেভেলপমেন্ট- (আইইডি) এ তাঁকে এ সম্মাননা প্রদান করা হল ।
আদিবাসী ইস্যুতে বিগত আগস্ট ২০১৮-এপ্রিল ২০১৯ সময়ে বিভিন্নপ্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য ১২ জন সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
কড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে দৈনিক খোলা কাগজে প্রকাশিত মাছুমের লেখা ‘কড়ার ধনও চুরি করছে রাজারা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সেরা তিন-এ জায়গা করে নিয়েছে।
দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরজ্জামানের সভাপতিত্বে ও আইইডি’র সহকারী সমন্বয়কারী হরেন্দ্রনাথ সিংয়ের সঞ্চালনায় সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দৈনিক খোলা কাগজের সম্পাদক ড. কাজল রশীদ শাহীন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, জন উদ্যোগের যুগ্ম আহবায়ক লুনা নূর, শিশু কিশোর সংগঠক ডা. লেলিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ সাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো।
অনুষ্ঠানে দৈনিক খোলা কাগজের সম্পাদক ড. কাজলরশীদ শাহীন বলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আগে আমার ধারণা ছিলনা। এটি শোনার ফলে আমার নিজের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সবাই মিলে এই কাজ এগিয়ে নেওয়া দরকার। এই অনুষ্ঠান সমাজ ও রাষ্ট্রে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে আগামীতে আদিবাসীদের ব্যাপারে সরকারেরও সুদৃষ্টি পড়বে।’
কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে ছাইফুল ইসলাম মাছুম বলেন, ‘যেকোন স্বীকৃতিই আনন্দের। আইইডি’র সম্মাননা আমাকে উৎসাহিত করেছে। প্রান্তিক এলাকার ছিন্নমূল শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের কথা গুলো সংবাদের পাতায় তুলে ধরতে চাই। যারা অবহেলিত, উপেক্ষিত সেই সকল কণ্ঠহীন মানুষদের কণ্ঠস্বর হয়েকাজ করে যেতে চাই।’
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাছুমের জন্ম নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরচেঙ্গা গ্রামে। বাবা আবুল কাশেম পেশায় সোনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা আর মা শাহনাজ বেগম গৃহিণী। দুইভাই-এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি।
প্রান্তিক এলাকা থেকে উঠে আসা এই তরুণ সাংবাদিক এরই মধ্যে ফিচার রাইটার হিসেবে কাজ করেছেন দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠসহ দেশের শীর্ষ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে।
বর্তমানে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাছুম।


0 Comments