Breaking News

header ads

ত্রুটিপূর্ণ ওজনের অভিযোগে নোয়াখালীর ফিলিং স্টেশন সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ভেজল বিরোধী অভিযানে মাইজদীর মেসার্স আবদুল হক ফিলিং স্টেশন, মেসার্স সাজ্জাত ফিলিং স্টেশন ও শ্রী রাম মিষ্টান্ন ভান্ডারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। 

আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামান খান । আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, দেবানন্দ সিনহা, সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়, নোয়াখালী এবং বিএসটিআই, চট্টগ্রাম বিভাগীয় এর প্রতিনিধি মোঃ মামুনুর রহমান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন পুলিশ লাইন ও সুধারাম মডেল থানা, নোয়াখালী। 

গোপন সংবাদ ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত দেখতে পায়, মেসার্স আবদুল হক ফিলিং স্টেশন ও মেসার্স সাজ্জাত ফিলিং স্টেশন ত্রুটিপূর্ণ পরিমাপ ব্যবস্থায় গ্রাহকদের জ্বালানী সরবরাহ করছেন। বিএসটিআই এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মামুনুর রহমান এই ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা প্রমাণ করেন ও ভ্রাম্যমান আদালতকে ওজনে কারচুপির বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী “ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন ২০১৮” এর ২৯ ধারার অপরাধে ৪৬ধারায় যথাক্রমে ৫০হাজার ও ২৫হাজার টাকা জরিমানা দন্ড আরোপ ও আদায় করা হয়। 

এ সময়ে দত্তের হাট শ্রী রাম মিষ্টান্ন ভান্ডারে অভিযান চালিয়ে নোংরা, অপরিস্কার, খোলামেলা ও স্যাত স্যাতে অবস্থায় তৈরি পণ্য ও পণ্যের উপাদান পাওয়া যায় এবং এই দোকানীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ধারায় ২৫হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও আদায় করা হয়। দত্তের হাট বাজার, ফলের দোকান, মাংস ও অন্যান্য দোকানে পণ্যের পরিমাপ পদ্ধতি ও পরিমাপের সঠিকতা যাচাইয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় পণ্য পরিমাপের একটি টুলস জব্দ করা হয় ও দোকানীদের ডিজিটাল পরিমাপ মেশিন ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। 

জেলা শহরের মাইজদী হাউজিং আবাসাকি এলাকা ও হাসপাতালগুলোর পাশেই রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতের কাজে বিটুমিন পুরিয়ে দূর্গন্ধ ও কালো ধোঁয়া ছড়াচ্ছে –যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। নাগরিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে নাগরিকদের কাছ থেকে অভিযোগ আসায় তা নজরদারি করা হয়েছে এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আজই এখানে তাদের এ কার্যক্রম বন্ধ করে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামান খান জানান, জনস্বার্থে এই অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে। ঈদের পরেও চলবে এই অভিযান। এছাড়া কারো কাছে সুনির্দিষ্ট অনিয়মের অভিযোগ থাকলে  নোয়াখালী জেলা প্রশাসনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে।     

Post a Comment

0 Comments