লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহট ইউনিয়নের কাদির পণ্ডিতেরহাট এলাকায় মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গণের তীব্রতায় মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদ।
এমন পরিস্থিতিতে ভাঙ্গণের হুমকিতে পড়েছে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডিজিটাল ডাকঘর, মসজিদ ও কাদির পণ্ডিতেরহাট বাজার। ভাঙ্গণ প্রতিরোধে এখনই উদ্যোগ নেয়া না হলে চলতি মৌসুমে এগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থায়ী বাঁধ না হলেও ভাঙ্গণের তীব্রতা কমাতে আপদকালীন বরাদ্দের আওতায় জিও ব্যাগের বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
‘আদর্শ মানব কল্যাণ সংগঠন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে শনিবার ১১ জুলাই দুপুরে কমলনগর উপজেলার নাছিরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে স্থানীয় সমাজসেবক আবুল কাশেম হাওলাদার, ছাত্রনেতা রাকিব হোসেন সোহেল, আদর্শ মানব কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি সোহেল হোসেন শাহীন, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন নিরবসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, নদীর তীব্র ভাঙনে কমলনগর ও রামগতি উপজেলার হাজারো পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
প্রায় ৭ লাখ মানুষ রয়েছে মহাসংকটে। তাই এ সংকট মোকাবেলায় অবিলম্বে এ অঞ্চলে স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ২০১৬ সালে ভাঙ্গণের মুখে পড়ে কাদির পণ্ডিতেরহাট বাজারটি প্রায় দুই কিলোমিটার পূর্বে চরজগবন্ধু এলাকায় স্থানান্তরিত হয়। ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা নতুন করে দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বপ্ন দেখেন।
কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে করালগ্রাসী রাক্ষসী মেঘনা। মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানে মেঘনা নদীর ভাঙ্গণ এখন বাজারের ৩শ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে। বাজারের পাশেই রয়েছে চরজগবন্ধু এটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আবু তাহের কমিউনিটি ক্লিনিক ও চরজগবন্ধু ডিজিটাল ডাকঘরসহ ৪টি মসজিদ। ভাঙ্গণের তীব্রতায় সেই সব প্রতিষ্ঠানগুলোও রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।


0 Comments