ইউনুছ শিকদার : মেঘনার প্রবল ভাঙ্গনরোধের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী স্থানীয় জনসাধারণ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ইসমাইল বাজার এলাকায় এবং স্থানীয় নদীর তীরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ নুর আলম মেম্বারের সার্বিক পরিচালনায় মানববন্ধনে গৃহহীনও নদী তীরবর্তী সহস্রাধিক জনসাধারণ অংশ গ্রহন করেন। এসময় তারা নদী ভাঙনরোধ কল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পানীসম্পদ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য সিডিএসপি প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার শংকর চন্দ্র সাহার মতে ২০১২ থেকে ২০১৮খ্রি: পর্যন্ত প্রায় ৭০০০ হেক্টর ভুমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তার মতে প্রতি বছর ১০০মি. থেকে ৫০০মি.পর্যন্ত ভুমি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর মেঘনাতীরবর্তী এলাকা ছাড়াও জেলার হাতিয়া উপজেলার নদীর এপারে বয়ার চর, নলের চর, নাঙ্গলিয়া, কেরিং চর বিস্তৃত এলাকা নিয়মিত ভাঙ্গনের স্বীকার হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নদী ভাঙ্গনে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি আরিফুল ইসলামের মতে,এ পর্যন্ত স্লুইজ গেট ৩টি, ভেড়ি প্রায় ৩৫কি.মি., ক্লোজার ৪টি, পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির ঘর ২টি, সাইক্লোন শেল্টার ৭টি, কাঁচা ও পাকা রাস্তা ৫০কি.মি., কালভার্ট ৯টি, ইউড্রেন ১০টি, উন্নয়নকৃত বাজার ১টি, অন্যান্য বাজার ৫টি, মাটির কিল্লা ৭টি, গভীর নলকূপ ৩১১টি, পিট লেট্রিন ৫০৫০টি, বনায়নকৃত অঞ্চল ৪০০০ হেক্টর, বাঁধ ও রাস্তা (বনায়ন) ৬৩ কি.মি., এ ছাড়াও অসংখ্য বসত বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
জানতে চাইলে নোয়াখালী পানিউন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ১২ কি.মি. এলাকা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সার্ভে এবং সুপারিশের ভিত্তিতে অবিলম্বে ডিপিপি সাবমিট করা হবে।




0 Comments