ইউনুছ শিকদার (সুবর্ণচর) নোয়াখালী : সুবর্ণচরের উপকূলীয় এলাকায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। হঠাৎ করেই শীতের প্রকোপ বেড়ে যায়। অথচ পুরো নভেম্বর মাস কেটেছে শীতবিহীন। ডিসেম্বরের শুরুতে তেমন শীত পরিলক্ষিত না হলেও পৌষের শুরুতে তথা ডিসেম্বরের এই সময়ে তীব্র শীতে দিশেহারা উপকূলবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো শীতের হাত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের কমকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আবহাওয়ার অগ্রিম তথ্যানুসারে এই মাসের শেষের দিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু শৈত্য প্রবাহ হওয়ার কথা। কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল সন্ধ্যা থেকে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে তীব্র শীত পড়তে শুরু করেছে। আগামী ২-১ দিন কিংবা তার অধিক সময় পর্যন্ত আবহাওয়ার এই অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্ধাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা গেছে, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না। শীতের তীব্রতায় সড়কেও যান চলাচল অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম। দারিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা হঠাৎ করে শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে শীতে কাতর হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় শীতবস্ত্র কিনতে উপজেলার উচ্চবিত্ত জনগোষ্ঠী নামিদামি শপিংমল গুলোতে ভীড় জমালেও শীতবস্ত্রের চাহিদা মেটাতে মধ্যবিত্ত মানুষদের যেতে হচ্ছে শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে। দারিদ্র জনগোষ্ঠীর এখন চাওয়া পাওয়ার মূলেই হলো একটুখানি শীতবস্ত্র প্রাপ্তি।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা হামিদুল হক এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, শীতের পূর্বেই শীত মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ১৪/১২/১৯ ইং তারিখে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলার ৯ টি উপজেলা এবং ৮ টি পৌরসভায় শীতার্তদের মাঝে ৪৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে কিন্তু সুবর্ণচর উপজেলায় চাহিদানুযায়ী দেওয়া সম্ভব হয়নি।



0 Comments