লক্ষ্মীপুরে সাঁকো থেকে পড়ে শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে খালে পড়ে মাহি আক্তার (৬) নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) বিকালে ইউনিয়নের উত্তর চন্দ্রপুর সংলগ্ন রহমতখালী খাল থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। 

নিহত মাহি আক্তার স্থানীয় উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমন হোসেন (মাসুম)-এর মেয়ে। সে উত্তর চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে নানার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেয় মাহি। এসময় সে এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোটি পার হতে গিয়ে রহমতখালী খালে পড়ে ডুবে যায়। সে পানির স্রোতে হারিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু ডুবুরি দল না থাকায় তারা উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেননি। পরে বিকাল ৩টার দিকে চাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৪ জনের একটি ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর সাঁকো থেকে পাঁচশ’ গজ দূরে ওই ছাত্রীর ডুবন্ত লাশের সন্ধান মেলে।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ওয়াসী আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রবল পানির স্রোতে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় শিশু শিক্ষার্থী মাহি। এতে পানিতে ডুবেই তার মৃত্যু হয়েছে। লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসে ডুবুরি দল নেই, যে কারণে পার্শ¦বর্তী জেলা চাঁদপুর থেকে ডুবুরি দল এনে উদ্ধার কাজ চালাতে হয়েছে। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজি করে ডুবে যাওয়া ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

হাজিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম বাবুল পাটওয়ারী জানান, প্রায় তিন বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ওই সাঁকোটির স্থলে সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু ঠিকাদারের অনিয়ম আর অবহেলায় সেতুটির নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। প্রতিনিয়তই ছাত্র-ছাত্রী’সহ সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।