গাংচিল অনলাইন.কম: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শিক্ষকসহ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল (১সেপ্টেম্বর) রোববার রাত ৮টা থেকে টানা দুই ঘণ্টা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. ফিরোজ আহমদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন ও দুই ছাত্রসহ চারজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩১আগস্ট) রাতে ভাষা শহীদ আব্দস সালাম হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন গ্রুপের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক শাকিব মোশাররফ গ্রুপের সদস্যদের সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর জেরে হলের ৭-৮টি রুম ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচজন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার সন্ধ্যায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই গ্রুপের বৈঠক হয়। রাত প্রায় আটটার দিকে বৈঠক চলার এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর চালানো হয়। এতে আহত হয় দুই শিক্ষকসহ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বসেছিলেন। এমতাবস্থায় কিছু ছাত্র এসে জানায় তাদেরকে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ফের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় তিনি নিজেও আহত হন। সেই সঙ্গে প্রভোস্ট ড. ফিরোজ আহমদ মাথায় আঘাত পান।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


0 Comments