গাংচিল অনলাইন.কম: নোয়াখালীতে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক আবদুল মজিদ নিখোঁজ হওয়ার ৭ দিন পরও খোঁজ মেলেনি, উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি সরকারি ওয়্যারলেস সেট ও সরকারি নাম্বারসহ মোবাইল ফোন সেট। তার পরিবারেও চলছে উৎকণ্ঠা।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৩শে জুলাই রাত ১১টার পর থেকে নিখোঁজ হওয়া জেলা পুলিশের পরিদর্শক ডি.আই-১ আবদুল মজিদের এখনও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং উদ্ধার হয়নি তার কাছে থাকা সরকারি মোবাইল ফোন সেট (চার্লি ডেল্টা-১) ও সরকারি মোবাইল (০১৭১৩৩৭৩৭৪৭)।
মজিদের স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রামের বাসা ও নোয়াখালীর বাসায় খোঁজাখুঁজির পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করে তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এসব ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার বা অন্যকোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে চায় না।
এদিকে পুলিশ ইন্সপেক্টর আবদুল মজিদ নিখোঁজ হওয়ার পরদিন থেকে তার পরিবারের সদস্যরা নোয়াখালীতে এসে খোঁজখবর নিচ্ছে এবং তাদের মধ্যে চলছে হাহাকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, শুধু এটুকু বলুন মজিদ বেঁচে আছে।
পুলিশ ইন্সপেক্টর (ডি.আই-১) আবদুল মজিদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী কলেজের এক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করার পর ২৩শে জুলাই রাত ১১টার পর থেকে আবদুল মজিদ নিখোঁজ রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নোয়াখালী পুলিশ অথবা তার পরিবার তার কোনো খবর দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি আবদুল মজিদ নোয়াখালী ডিএসবি পুলিশের পরিদর্শক (ডি.আই-১) হিসেবে যোগদান করেন। বিগত ১৫ ডিসেম্বর সোনাইমুড়ী থানার ওসি হিসেবে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সাংসদ প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে গুলি করার খবর প্রকাশিত হলে ১৬ ডিসেম্বর তাকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। পরে নোয়াখালীর সাবেক এসপি বদলি হয়ে যাওয়ার সময় ওসি মো. আবদুল মজিদকে ডিএসবি ওসি হিসেবে পদায়ন করলে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি।


0 Comments