Breaking News

header ads

ধর্ষণের চেষ্টা মামলা তদন্তে গিয়ে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর গ্রহণ করলেন এসআই!

বেগমগঞ্জের কুতুবপুরে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৭) তিন যুবক মিলে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেদম প্রহার করে এবং ছিঁড়ে ফেলে কিশোরীর গায়ে জামাকাপড়। 

এ নিয়ে থানায় মামলা হলে তা তুলে নিতে এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে নেমেছেন এলাকার কিছু চিহ্নিত প্রভাবশালী। শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি, উল্টো ওই কিশোরী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ছড়াচ্ছে নানা অপবাদ। 

অপরদিকে অভিযোগ উঠেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে তদন্ত করতে গিয়ে জনসমাগম করে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে ‘গণস্বাক্ষর’ গ্রহণ করেছেন।

বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের ওই প্রতিবন্ধীর কিশোরীর মা জানান, ২২ জুন সন্ধ্যা ৬টায় স্থানীয় বটতলী বাজার থেকে বাসায় ফিরছিল। পথে মমিন ডাক্তারে ছেলে সোহেল (২৭), বাবুলের ছেলে মোরগ সোহেল (২৫), আব্দুর রবের ছেলে সালমান (২৫) মেয়েকে জোর করে পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

এ সময় মেয়ে চিৎকার করলে ওই বখাটেরা তার মাথা ও শরীরে আঘাত করে এবং পরনের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

তিনি আরও জানান, ২৩ জুন বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করার পর থেকে প্রভাবশালীরা মামলা তুলে নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস করে দেওয়ার চাপ দিচ্ছে। জানা যায়, থানায় মামলা দায়েরের পর এসআই সুজন বিকাশ চাকমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি ২৫ জুন তদন্তে গিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত না করে অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে বিরাট জনসমাগম ঘটান এবং ভিকটিমের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অপবাদের পক্ষে ‘গণস্বাক্ষর’ গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই সুজন বিকাশ চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলেননি। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম হিরণ জানান, আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নূরে আলম ওই পুলিশ কর্মকর্তার গণস্বাক্ষরের বিষয়ে এই প্রতিনিধিকে বলেন, প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অবগত আছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা যেভাবেই তদন্ত করুন না কেন তা আমার যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Post a Comment

0 Comments