রিতান মাহমুদ (জাফর) গাংচিল (কোম্পানীগঞ্জ) প্রতিনিধি: নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ০৮ নং চরএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল-কলমি থেকে চর এলাহী পর্যন্ত সড়ক পথে যাতায়াত ছিল এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের প্রায় তিন যুগের স্বপ্ন।
গাংচিল-কলমি নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা হওয়ায় এ এলাকার মানুষ উপজেলা সদরএ যেতে হলে সুবর্ণচর-কবির হাট হয়ে তার পর কোম্পানীগঞ্জ যেতে হত। কেননা দীর্ঘ সময়ধরে গাংচিল থেকে চর এলাহী যাওয়ার কোন রাস্তাই ছিলনা। মানুষ নদী পার হয়ে উপজেলা সদর এ যেতে হত তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য।
এমনকি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হলেও মানুষকে নদী সাতরিয়ে যেতে হত। আর এভাবে নদী সাতরাতে গিয়ে বহু মানুষকে অকালে জীবন দিতে হয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে চরএলাহী নদীল উপর দিয়ে সড়ক নির্মান করা হলেও কাঁচা সড়কে গাড়ি চলাচল করতে না পারায় মানুষের ভোগান্তি রয়েই গেল। সাধারন মানুষ পায়ে হেঁটে অথবা রিক্সায় করে ইউনিয়ন পরিষদে তথা উপজেলা সদরে যাতায়াত করা লাগত।
বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এর সুদৃষ্টির কারনে এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পুরন হতে চলেছে। কিন্তু দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পুরনের সড়ক নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসি।
এলাকাবাসি সূত্রে জানাযায়, এই গাংচিল-চরএলাহী সড়ক নির্মানে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে। যেস্থানে যে পরিমাণ কাজ করা দরকার তা না করে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন নির্মান সংশ্লিষ্টরা।
জানাযায়, রাস্তার পাশে বিভিন্ন স্থানে গাইড ওয়াল নির্মান করা হয়েছে যা নির্মান কাজ শেষ না হতেই কোথাও পাটল দেখা দিয়েছে এমন কি কোন কোন স্থানে ধসে পড়েছে।
এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন- আমাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন এ সড়ক নির্মানে কোন প্রকার দূর্নীতি আমরা মেনে নেবনা। আমরা মানীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। যাতে আমাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পুরনে কোন প্রকার দূর্নীতি না হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য।
তারা আরও জানান, সড়কের নির্মান কাজ চলা অবস্থায় এমন বেহাল দশা, আমাদের আশঙ্খা এভাবে সড়ক নির্মান সম্পন্ন হলে তা বর্ষার মৌসুমে গাইড ওয়াল ধসে রাস্তার অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
উপজেলা সদর ও ইউনিয়ন পরিষদের সাথে যোগাযোগরে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পথ যাতে দূর্নীতিমুক্তভাবে নির্মান হয়, এব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন গাংচিল-কলমির সাধারন মানুষ।


0 Comments