নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে দুই সন্তানের এক জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় রাতেই তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৩০-৪০জনকে আসামী করে নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে আজ শুক্রবার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে একটি এলজি ও এক রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, একই গ্রামের মোস্তফার ছেলে সাইফুল ও রুদ্রুপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে বাবু।
হাসপাতালে নির্যাতিতা নারী জানান, হারুন, সাইফুল ও বাবুর সাথে পুকুরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে তার স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় সময় আসামীরা তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে আসছে। তারই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ওই তিন আসামীর নেতৃত্বে ৩০-৪০জন তাদের বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় হারুন, সাইফুল ও বাবু দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই নারীর শাশুড়িকে মারধর করে তার কক্ষে গিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এবং বাহিরে থাকা তাদের সন্ত্রাসীরা পুরো ঘর কুপিয়ে এবং হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
তিনি জানান, এ সময় তার স্বামী বাড়ির বাহিরে ছিল। পরে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে দ্রুত পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যায় এবং ভোরে হাসপাতালে ভর্তি করান।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম মোল্লা জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এবং অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিঙ্ক: ফিরোজ আলম মোল্লা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), বেগমগঞ্জ থানা, নোয়াখালী।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জানান, নির্যাতিতাকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামীকালও কিছু পরীক্ষা করা হবে।

0 Comments